বাংলাদেশের ই-কমার্স ব্যবস্থা – বিশ্বাস এবং ভবিষ্যৎ

  • Post author:
  • Post category:Business

বর্তমান সময়ে আমরা অনলাইনে করিনা এমন কোন কাজ নাই ।  পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে তাদের লাইফস্টাইলটা প্রায় ১০০% অনলাইন নির্ভরশীল ।  তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস  প্রায় সবকিছুই অনলাইনে অর্ডার দেয়,  তাদের ফিনান্স সিস্টেম অনেকটা পেপারলেস । অ্যামাজন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট,  ২০২০ সালে তাদের ইনকামের পরিমাণ ৩৮৬ বিলিয়ন ইউ এস ডলার, অ্যামাজনের এই আয়টা কত বড়, ধরন, আমাদের ২০২১ সালের বাজেটে খরচ এর পরিমাণ ৭১ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার । বুঝতেই পারছেন অ্যামাজনের ইনকাম আমাদের বাজেটের খরচের থেকেও ৫ গুণেরও বেশি!! । ২০২০ সালে অ্যামাজনে টোটাল ৫.২ বিলিয়ন ইউনিক ভিজিটর তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করছে  । এত বড় বিশাল ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন, আপনি কখনো দেখেছেন অ্যামাজনে ই-ভ্যালির মত বিশাল ছাড় দিয়ে প্রোডাক্ট সেল হচ্ছে?  সারাবিশ্বে ৪.২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি প্রোডাক্ট যেগুলো অনলাইনে বিক্রি হয় । আপনি যদি ভবিষ্যৎ চিন্তা করেন,  তাহলে বুঝতেই পারছেন ১০ বছর পর এমনকি আমাদের দেশে খুব কম মানুষই দোকানে দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র কেনাকাটা করবে । ১০ বছর আগে এটা বিশ্বাস করা খুব কষ্টকর ছিল,  এখনো হয়তো অনেকে এটা বিশ্বাস করছেন না, তবে মনে রাইখেন, ২০৩০/৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মতো দেশে অনলাইনের বাহিরে জিনিসপত্র কেনা বেচা খুব কমই হবে । এটাই বাস্তবতা । বিগত তিন বছরে আমাদের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির প্রবৃদ্ধির হার প্রায় শতভাগ অর্থাৎ এর মানে হচ্ছে প্রত্যেক বছরই ই-কমার্স দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে । বর্তমানে আমাদের ই-কমার্সের বাজারের যে আকার এটা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার মার্কেট, যেটা ২০৩০ সালের মধ্যে ২৩ হাজার কোটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে । আমাদের দেশে প্রায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজারের মতো ই-কমার্স সাইট রয়েছে,  বেশিরভাগই উরাধুরা ছোট সাইজের ই-কমার্স সাইট যেগুলোর নাম আমি আপনি জীবনেও জানিনা , তবে দারাজের মত অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত বড় সাইট রয়েছে ।  আবার অপরদিকে ইভ্যালির মত হঠাৎ করে মার্কেটে আসা প্রতারক সাইট রয়েছে যার কারণে পুরো ই-কমার্স ব্যবস্থা বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত এখন ।

বাংলাদেশের ই-কমার্স মার্কেট

আমাদের ই-কমার্স সিস্টেমটা কিন্তু দিনে দিনে বড় হয়ে যাচ্ছে,  এখন আপনি ফেসবুকের কোনায় কোনায় প্রোডাক্ট এর advertise দেখেন । হাজার কোটি টাকার এত বড় একটা মার্কেট কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখন পর্যন্ত প্রপার কোন রেগুলেশন তৈরি হয় নাই, যার ফলে আপনি যেটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা হচ্ছে ইভ্যালি, ধামাকা, অরেঞ্জ এই টাইপের বিশ্বাস নষ্টকারী ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম । বাস্তবতার দিক থেকে বিবেচনা করলে বেশিরভাগ ই-কমার্স ওয়েবসাইট চেষ্টা করে কাস্টমারকে ভাল সার্ভিস দিতে । এরপরও ছোটখাটো অনেক অভিযোগ আছে, যেমন প্রোডাক্ট এর সাইজ আলাদা দেয়, এক কালারের প্রোডাক্ট অর্ডার করলে অন্য কালারের প্রোডাক্ট তারা দেয়, দাম বেশি এটা একটা বড় অভিযোগ কারণ আপনি যে জিনিস হয়তো নিউ মার্কেটে ১১০ টাকায় পাবেন, একই জিনিস তারা চায়না থেকে নিয়ে এসে আড়াইশো তিনশো টাকা সেল করছে! ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এত বড় সম্ভাবনাময় একটা ইন্ডাস্ট্রি, যেখানে বিশ্বাস ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব না অর্থাৎ আপনি যেই জিনিসটা অর্ডার করছেন, জিনিসটা যে বিক্রি করছে তার উপর বিশ্বাস রেখে অর্ডার করছেন, আপনি মার্কেটপ্লেসের ওপর বিশ্বাস রেখে অর্ডার করছেন । বর্তমান সময়ে যেটা ঘটছে, আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা লোভী ধরনের, কিছু মানুষ আছে এরা লোক ঠকাতে পছন্দ করে ।  এদের পরিমাণটা হয়তো বেশি না কিন্তু এটা তো জানেন, এক বালতি দুধের মধ্যে দুই ফোঁটা  গরুর চোনা দিলেও সম্পূর্ণ দুধটা নষ্ট হয়ে যায় । এদের কারণে ই-কমার্স ব্যবস্থায় বিশ্বাস যেটা ছিল সেটা অনেকটাই কমে গেছে । আর এই মার্কেট বিশ্বাস ছাড়া কখনই চলতে পারবে না ।

প্রশ্ন হচ্ছে আপনি ঠকছেন কেন?

সবাই কিন্তু অনলাইনে প্রোডাক্ট কিনে ঠকে না, অল্প কিছু মানুষ এই ক্যাটাগরিতে পরে । আপনি যদি ইভ্যালির কাস্টমার হন তাহলে আপনি ঠকছেন  কারণ আপনি লোভ করেছেন, মানেন বা না মানেন এটা সত্য কথা । যখন কেউ ১০ টাকার জিনিস আপনাকে পাঁচ টাকা বা সাত টাকায় অফার করবে, আপনার ধরেই নিতে হবে এর মধ্যে কোন সমস্যা আছে । যদি আপনি এটা বুঝতে না পারেন, তাহলে বর্তমানের মত এরকম পরিস্থিতিতে অনেকবারই পড়বেন । ইভ্যালি কি করত? ইভ্যালি শুরুতে আপনাদেরকে আকর্ষণ করার জন্য অস্বাভাবিক টাইপের অফার দিতো । যে মোটরসাইকেলের দাম ৭০,০০০ টাকা সে মোটরসাইকেলে আপনাকে ৪০ বা ৫০ হাজার টাকায় অফার করতো! তারপর আপনার থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে মাসের পর মাস আপনার পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখতো । এমনকি অনেকে এক বছর পার হয়ে গেলেও ইভ্যালির প্রোডাক্ট এখনও পায় নাই, ভবিষ্যতেও পাবে কিনা সন্দেহ আছে । 

অনলাইন জগতে কখনো লোভ করতে যাবেন না, স্পেশালি এই টাইপের অফার গুলো সব সময় প্রতারকদের ইনকামের বড় একটা উৎস হয়ে থাকে । তারা জানে আপনার মত নিরীহ মানুষ লোভে পড়ে তাদের এই প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন, তারা হবে কোটিপতি আর আপনি হয়ে যাবেন নিঃস্ব । এই টাইপের প্রতারক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এর কারণে যেটা হচ্ছে, যারা সৎভাবে ই-কমার্স ব্যবসা করতে চান তাদের ওপর থেকেও মানুষের বিশ্বাসটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । কারণ ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেও ভয় পায় । যখন আপনার আশেপাশে দেখেছেন, কেউ অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ঠকছে,  আপনার কোন বন্ধু বান্ধব অনলাইনে অর্ডার দিয়েছেন সাদা কালারের শার্ট, বিক্রেতা দিয়েছে হলুদ কালারের শার্ট! এইটা দেখার পর আপনি কি আর অনলাইনে অর্ডার দিতে চাইবেন? সুতারাং অল্প কিছু  প্রতারকের কারণে বিলিয়ন টাকার এই ইন্ডাস্ট্রি নষ্ট হয়ে যাবে, এটা করতে দেওয়া উচিত হবে না ।  সরকার এখনো কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা করে নাই, খুব দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত । যদি একটা প্রপার দুর্নীতিমুক্ত অথরিটি থাকে, যারা ই-কমার্স ব্যবসা কে কন্ট্রোল করবে, যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সিস্টেমটাকে কোন ভাবে নষ্ট করতে না পারে, মানুষের বিশ্বাসটা যেন ধ্বংস না করে দেয়, তাহলেই আমাদের ই-কমার্স ব্যবস্থা অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস ।

দারাজ

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট হচ্ছে  দারাজ । Statista – র তথ্য অনুযায়ী,  বাংলাদেশের ই-কমার্স মার্কেটের প্রায় ৫৯ ভাগ দারাজ কন্ট্রোল করে । দারাজ মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে হাজার হাজার সেলার বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি করে । হয়তো এদের বেশিরভাগই ভালো প্রোডাক্ট প্রদান করে,  কিছু বিক্রেতা আছে যারা মানুষকে ঠকায়! । অল্প কিছু বিক্রেতার জন্য দারাজের রেপুটেশনটা অনেকখানি প্রশ্নের মুখে পরে । প্রশ্ন হচ্ছে এটা কেন হয়?

এর কারণ হচ্ছে,  আপনি যে জিনিসটা অর্ডার করেন এটা কিন্তু দারাজ নিজে কখনো চেক করে না ।  অর্থাৎ আপনার প্রোডাক্টটা সেলার নিজের মতো করে প্যাকেজিং করে দারাজের অনুমোদিত যেকোনো কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনার কাছে ডাইরেক্ট সেন্ড করে ।  এর ফলে সে জিনিসটা ভালো না খারাপ দিছে সেটা দারাজের জানার কোন উপায় নাই । এখানে বিশ্বাসটা হচ্ছে সেলার এবং কাস্টমার এর মধ্যে । আমি জানিনা তারা এটা কেন করেনা, যে কোন প্রোডাক্ট তাদের মাধ্যমে অর্ডার করলে দারাজ প্রথমে তাদের ওয়্যারহাউজ এ জিনিসটা নিয়ে কাস্টমারের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী প্রডাক্ট কোয়ালিটি চেক করে যদি পাঠাইতো তাহলে এই সমস্যাটা কখনোই হতো না । এতে হয়তো ডেলিভারি টাইমলাইন একটু বেশি হবে কিন্তু কাস্টমাররা কখনো ঠকবে না এবং দারাজের রেপুটেশন টা কখনোই নষ্ট হবে না । কাস্টমারের  বিশ্বাসটা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিন্তু দারাজ কখনোই টিকতে পারবে না ।

আমাদের ই-কমার্স ব্যবস্থার সমস্যা এবং সমাধান

প্রথম যে সমস্যা সেটা হচ্ছে, যে কেউ ইচ্ছা করলেই বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে  নামসর্বস্ব ই-কমার্স সাইট খুলে কাস্টমারের সাথে প্রতারণা করতে পারে! । এর সমাধান খুবই সিম্পল, দুর্নীতিমুক্ত একটা কর্তৃপক্ষ থাকতে হবে, যাদের কাজ হচ্ছে যারা ই-কমার্স সাইট খুলবে তাদের থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাটা সংগ্রহ করে একটা অনুমোদন ব্যবস্থা চালু করা । অর্থাৎ কাস্টমার যেন জানে যেটা সরকার থেকে নিবন্ধিত একটা ই-কমার্স সাইট, যদি এখানে কোন সমস্যা হয় আমি সরকারের কাছে অভিযোগ করতে পারবে এবং এর প্রতিকার পাব অর্থাৎ তারা সহজেই আমাদের সাথে প্রতারণা করতে পারবেনা । অবশ্যই এটা শতভাগ সমাধান না, আমাদের যে সিস্টেম সেখানে আইন-কানুনের ফাঁকফোকর দিয়েও যারা দুর্নীতিবাজ, তারা দুর্নীতি করে । বাট এই সিস্টেম টা ফলো করলে কিছুটা হলেও এটা কন্ট্রোলে আসবে অর্থাৎ ইভ্যালি টাইপের সাইট হঠাৎ করে গড়ে উঠবে না ।

আরেকটা সমস্যা হচ্ছে আমাদের ই-কমার্স সাইট গুলো হচ্ছে ডিজিটাল ব্যবস্থায় ম্যনুয়াল সিস্টেম অর্থাৎ তাদের ওয়েবসাইট টা শুধু ডিজিটাল, বাকি যে কাজগুলো আছে যেমন তাদের পেমেন্ট বেশিরভাগই ক্যাশ অন ডেলিভারি তে হয় কারণ কাস্টমার তাদেরকে বিশ্বাস করে না । তাদের ডেলিভারি সিস্টেম টোটালি ম্যানুয়াল, যে কুরিয়ার গুলো ই-কমার্সের প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেয় তাদের কার্যক্রম প্রায় ৯০ ভাগ ম্যানুয়াল । পুরা সিস্টেমটা ডিজিটাল ব্যবস্থায় কনভার্ট করা গেলে কাজের গতি অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে । ডেলিভারির যে টাইমটা এটা অনেক কমে যাবে । কাস্টমার যখন কোম্পানিগুলোর উপর পুরোপুরি বিশ্বাস রাখতে পারবে, তারা অনলাইন পেমেন্ট গেটওয় গুলো ব্যাবহার করে তাদেরকে টাকা পয়সা দেবে ।

আর দারাজের মত যেগুলো বড় সাইট রয়েছে, এখানে প্রডাক্ট লিস্টিং এর ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম কানুন থাকতে হবে অর্থাৎ আপনি ইচ্ছা করলেই যেকোনো প্রডাক্ট লিস্টিং করে ইচ্ছামত দাম নির্ধারণ করতে পারবেন না । দামটা বাজারের সাথে সমন্বয় করে রাখতে হবে । যে প্রোডাক্ট এর দাম আপনার ৫০ টাকা,  দেখছে মার্কেটপ্লেসে ওই প্রোডাক্ট তেমন একটা নাই, সেলার তখন ৫০০ টাকা দাম ধরবে!, এভাবে চলতে পারে না । কাস্টমার যে সাইজ এবং কালারের প্রোডাক্ট অর্ডার করবে, আপনাকে সেই সাইজ এবং কালারের প্রোডাক্ট অবশ্যই দিতে হবে, না হলে আপনি জরিমানা শিকার হবেন । গুণগত মান রক্ষা না করে, ই-কমার্স ব্যবস্থায় কোন সেলার বা কোন মার্কেটপ্লেস কখনোই টিকতে পারবে না, এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় ।

একমাত্র নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এত বড় একটা বাজার ব্যবস্থা এটা কন্ট্রোল করা যাবে । মানুষ শতভাগ বিশ্বাস কখনোই করবে না কিন্তু আপনি যদি সাবধানে, লোভের বশবর্তী হয়ে অর্ডার না দেন; প্রতারক টাইপের ই-কমার্স সাইটগুলো অ্যাভয়েড করতে পারেন –  প্রতারক টাইপের ই-কমার্স বা যে কোন ব্যবসা চিহ্নিত করা খুবই সহজ –

  • এরা হঠাৎ করে বাজারে আসবে
  •  ডিসকাউন্ট এর সুনামি বইয়ে দেবে অর্থাৎ যে জিনিস আপনি বাজার থেকে ১০ টাকায় কেনেন আপনারে লোভ দেবে, এই জিনিস আমাদের এখান থেকে কিনেন, এটা আপনি ৫ টাকায় পাবেন
  • বেশিরভাগ সময় অগ্রিম টাকা দাবি করবে
  • প্রথম কিছুদিন ভালোভাবে লোকজনকে ডেলিভারি দেবে যাতে সে আরো কাস্টমার আকর্ষণ করতে পারে। এরপর থেকে তার অরিজিনাল রূপ বের হয়ে আসবে ।
  • যেকোন ওয়েবসাইট যেটা আপনাকে লোভনীয় অফার করবে তাদের খুব ভালোভাবে চেক করে তারপর অর্ডার দেবেন এবং কখনোই অগ্রিম টাকা দিয়ে অর্ডার করবেন না ।

আজ এ পর্যন্তই, সবাইকে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ । ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।